স্পোর্টস ডেস্ক: একই দলে দু‘রকম চিত্র। একদিকে সৌম্য সরকারের রানে ফেরা। অন্যদিকে টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা লিটন দাসের মাত্র ৬ রানে আউট হয়ে যাওয়া।
লিটন দাসের ব্যাটিং টেকনিক, স্কিল, শটস খেলার পারদর্শিতা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ নেই কারো। তার অর্জনও মন্দ নয়। এরই মধ্যে শাহরিয়ার নাফীসের সাথে যৌথভাবে কম ম্যাচ (৬৫ খেলায়) খেলে দুই হাজার রান করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম। তারপরও সময় ভাল যাচ্ছে না লিটন দাসেরও। এ স্টাইলিশ ব্যাটারেরও চলছে ভীষণ রান খরা। ২০ মাস কোনো সেঞ্চুরি নেই ওয়ানডেতে।
ম্যাচের হিসেবে ৩৯ ম্যাচ ধরে তিন অংকে পৌছাতে পারেননি লিটন দাস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ শতরান করেছিলেন। এরপর আর নামের পাশে সেঞ্চুরি নেই। তবে ৮ বার পঞ্চাশে পা রেখেছেন।
শেষ ফিফটি পুনেতে বিশ্বকাপে। ৬ ম্যাচ আগে; ভারতের বিপক্ষে, ৮২ বলে ৬৬। এরপর একবার ৪০ এর ঘরে পৌঁছলেও বাকি ৫ বারের ৪ বার সেট হয়ে ২২ থেকে ৩৬ এর মধ্যে আউট হয়েছেন। আর চলতি সিরিজের ২ ম্যাচে লিটনের সংগ্রহ ডানেডিনে ২২, আর আজ নেলসনে ৬।
অন্যতম নির্ভরযোগ্য পারফরমারের এ খারাপ ফর্ম চিন্তিত করে তুলেছে বোর্ড কর্তাদেরও। জাতীয় দলের ব্যবস্থাপক কমিটি প্রধান জালাল ইউনুসের কপালেও চিন্তার রেখা। মুখ ফুটে বলেও ফেললেন, ‘আমরা জানি লিটন কোয়লিটি প্লেয়ার। তার টেকনিক, স্কিল ও টেম্পরামেন্ট দারুন। সে আসলে ডিফারেন্ট ক্লাস পারফরমার। কিন্তু তার ব্যাট কথা বলছে না। একদম রান নেই। আমরা অপেক্ষা করছি তার ব্যাট থেকে ভাল ও বড় ইনিংস দেখার।’
ভাল খেলা যেমন দলে অবস্থান নিশ্চিত ও মজবুত করে, খারাপ খেলতে থাকলে অবস্থানও হয়ে পড়ে নড়বড়ে। লিটন দাসেরও কি তাই হতে পারে? তিনি যদি আগামীতেও নিজেকে খুঁজে না পান, অফ ফর্ম থেকে বেরিয়ে রান করতে না পারেন, তারপরও কি দলে থাকবেন?
এমন প্রশ্ন কারো কারো মনে উঁকি-ঝুকি দিচ্ছে। ক্রিকেট অপসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তার সোজা জবাব, ‘জাতীয় দলে কারো অবস্থান স্থায়ী নয়। কেউ গ্যারান্টেড না। দীর্ঘদিন রান না করলে বিকল্প চিন্তা করবো।’